স্কিপ করে মূল কন্টেন্ট এ যান

কার্বন সচেতনতা

note

এই অনুবাদটি গ্রিন সফটওয়্যার প্র্যাকটিশনার্স কমিউনিটি দ্বারা তৈরি। এটির সমর্থন সীমিত এবং কোর্সের সর্বশেষ ইংরেজি সংস্করণের সাথে নাও মিলতে পারে।

নীতি

যখন বিদ্যুৎ পরিষ্কার (cleaner) থাকে, তখন বেশি কাজ করুন এবং যখন বিদ্যুৎ অপরিষ্কার (dirtier) থাকে, তখন কম কাজ করুন।

ভূমিকা

সব বিদ্যুৎ একইভাবে তৈরি হয় না। বিভিন্ন স্থান এবং সময়ে, বিভিন্ন উৎস ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। কিছু উৎস, যেমন বায়ু, সৌর বা জলবিদ্যুৎ, হলো পরিচ্ছন্ন (clean), নবায়নযোগ্য উৎস যা সামান্য কার্বন নিঃসরণ করে। অন্যদিকে, জীবাশ্ম জ্বালানি উৎসগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে বিভিন্ন মাত্রায় কার্বন নিঃসরণ করে। উদাহরণস্বরূপ, গ্যাস এবং কয়লা উভয়ই নবায়নযোগ্য উৎসের চেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণ করে, তবে গ্যাস-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চেয়ে কম কার্বন নিঃসরণ করে।

কার্বন সচেতনতা হলো এমন একটি ধারণা যে, যখন কম কার্বন উৎস থেকে বেশি শক্তি আসে, তখন আরও বেশি কাজ করা এবং যখন বেশি কার্বন উৎস থেকে বেশি শক্তি আসে তখন কম কাজ করা।

মূল ধারণাগুলো

কার্বন তীব্রতা

কার্বন তীব্রতা প্রতি কিলোওয়াট-ঘণ্টা (KWh) বিদ্যুতের জন্য কতটা কার্বন (CO2e) নিঃসরণ হয় তা পরিমাপ করে। কার্বন তীব্রতার একক হলো gCO2eq/kWh, বা প্রতি কিলোওয়াট-ঘণ্টায় কার্বনের গ্রাম (grams of carbon per kilowatt hour)। যদি আপনার কম্পিউটার সরাসরি একটি উইন্ডমিলের (Windmill) সাথে যুক্ত থাকে, তবে তার বিদ্যুতের কার্বন তীব্রতা হবে 0 gCO2eq/kWh, কারণ সেই উইন্ডমিল বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো কার্বন নিঃসরণ করে না। তবে, আমরা বেশিরভাগই সরাসরি উইন্ডমিলের সাথে যুক্ত হতে পারি না; আমরা বিভিন্ন উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা পাওয়ার গ্রিডের (power grid) সাথে যুক্ত হয়। একবার একটি গ্রিডে যুক্ত হলে, আপনি যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন, তা কোন উৎস থেকে আসছে তা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না; আপনি কেবল সবকিছুর একটি মিশ্রণ (mixture) পান। সুতরাং, আপনার কার্বন তীব্রতা একটি গ্রিডের সমস্ত বিদ্যুৎ উৎসের মিশ্রণ হবে, যা নিম্ন-কার্বন এবং উচ্চ-কার্বন উভয় উৎসই হতে পারে।

কার্বন তীব্রতার পরিবর্তনশীলতা

কার্বন তীব্রতা অবস্থান অনুসারে পরিবর্তিত হয়, কারণ কিছু অঞ্চলে অন্যদের তুলনায় বেশি পরিচ্ছন্ন শক্তির উৎস সহ একটি শক্তি মিশ্রণ থাকে।

alt_text

কার্বন তীব্রতা সময়ের সাথেও পরিবর্তিত হয়, কারণ আবহাওয়ার অবস্থার পূর্বাভাসহীনতার ফলে নবায়নযোগ্য শক্তির সরবরাহ পরিবর্তন হয়। উদাহরণস্বরূপ, যখন আকাশ মেঘলা থাকে বা বাতাস বয় না, তখন কার্বন তীব্রতা বেড়ে যায় কারণ আপনার মিশ্রণে বিদ্যুতের বেশি অংশ কার্বন নিঃসরণকারী উৎস থেকে আসে।

alt_text

ডিসপ্যাচাবিলিটি এবং কার্টেইলমেন্ট

দিনের বেলায় বিদ্যুতের চাহিদা পরিবর্তনশীল, এবং সরবরাহককে সর্বদা সেই চাহিদা মেটাতে সক্ষম হতে হয়। যদি কোনো ইউটিলিটি (বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা) চাহিদা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে, তাহলে ব্রাউনআউট (Brownout) (পাওয়ার লাইনের ভোল্টেজ স্তরের পতন) হয়। উল্টো দিকে, যদি একটি ইউটিলিটি প্রয়োজনীয়তার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, তাহলে অবকাঠামো পুড়ে যাওয়া বন্ধ করতে ব্রেকার ট্রিপ করে এবং ব্ল্যাকআউট (Blackouts) হয়।

সব সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে একটি ভারসাম্য থাকা দরকার, এবং এই দায়িত্ব সাধারণত ইউটিলিটি প্রদানকারীর উপর বর্তায়।

কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষেত্রে, এই সরবরাহের জন্য উৎপাদিত বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ; এটিকে ডিসপ্যাচাবিলিটি (Dispatchability) বলা হয়। তবে, উইন্ডমিলের মতো নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের ক্ষেত্রে, উৎপাদিত বিদ্যুৎ সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। যদি শক্তির উৎস প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, তবে সেই বিদ্যুৎ ফেলে দেওয়া/বাতিল করা হয়; এটিকে কার্টেইলমেন্ট (Curtailment) বলা হয়।

প্রান্তিক কার্বন তীব্রতা

যদি আপনার হঠাৎ করে আরও বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় - উদাহরণস্বরূপ, আপনার একটি আলো জ্বালানোর দরকার হয় - সেই শক্তি প্রান্তিক (Marginal) বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আসে। প্রান্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলো ডিসপ্যাচেবল, যার মানে প্রান্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো প্রায়শই জীবাশ্ম জ্বালানি দ্বারা চালিত হয়।

প্রান্তিক কার্বন তীব্রতা হলো সেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্বন তীব্রতা যা যেকোনো নতুন চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করতে হবে।

জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো খুব কমই 0 পর্যন্ত কমে আসে। তাদের একটি ন্যূনতম কার্যক্ষমতার সীমা (Minimum functioning threshold) থাকে এবং কিছু তো স্কেলও করে না; সেগুলোকে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ, সর্বদা-চালু বেস লোড (Baseload) হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই কারণে, কখনও কখনও এমন পরিস্থিতি দেখা দেয়, যখন আমরা নবায়নযোগ্য শক্তিকে অবমূল্যায়ন (বাতিল) করছি, অথচ একই সঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে শক্তি গ্রহণ করে চলেছি।

alt_text

এই পরিস্থিতিতে প্রান্তিক কার্বন তীব্রতা 0 gCO2eq/kWh হবে কারণ নতুন চাহিদা আমরা যে নবায়নযোগ্য শক্তি বাতিল করছি সেটির সঙ্গে মিলে যাবে।

বিদ্যুৎ মার্কেট

যথাযথ বাজারের মডেল বিশ্বজুড়ে ভিন্ন হলেও মোটামুটি একই মডেল অনুসরণ করে।

যখন বিদ্যুতের চাহিদা কমে যায়, তখন সরবরাহ এবং চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখতে ইউটিলিটিগুলোকে সরবরাহ কমাতে হয়। তারা দুটি উপায়ের মাধ্যমে এটি করতে পারে:

  1. জীবাশ্ম জ্বালানি কেন্দ্র থেকে কম শক্তি কিনুন।

alt_text জীবাশ্ম জ্বালানি কেন্দ্র থেকে উৎপন্ন শক্তি সাধারণত সবচেয়ে দামি হয়, তাই এই উপায়টি পছন্দসই। এর ফলে সরাসরি কম জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো হয়।

  1. নবায়নযোগ্য উৎস থেকে কম শক্তি কিনুন। নবায়নযোগ্য উৎসগুলো সবচেয়ে সস্তা, তাই তারা এটি করতে পছন্দ করে না। যদি একটি নবায়নযোগ্য উৎস তার সমস্ত বিদ্যুৎ বিক্রি করতে না পারে, তবে তাকে বাকিটা ফেলে দিতে হয় (Curtailment)।

আপনার অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে ব্যবহৃত বিদ্যুতের পরিমাণ কমানো বিদ্যুতের কার্বন তীব্রতা কমাতে সাহায্য করতে পারে, কারণ প্রথম যে জিনিসটি কমানো হবে তা হলো জীবাশ্ম জ্বালানি। যখন বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়, তখন সরবরাহ এবং চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখতে ইউটিলিটিগুলোকে সরবরাহ বাড়াতে হয়। তারা দুটি উপায়ের মধ্যে একটিতে এটি করতে পারে:

  1. বর্তমানে কার্টেইল করা হচ্ছে এমন নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আরও বেশি শক্তি কিনুন।

alt_text

যদি আপনি কার্টেইল করে থাকেন, তার মানে আপনার কাছে অতিরিক্ত শক্তি আছে যা আপনি সরবরাহ করতে পারেন। নবায়নযোগ্য শক্তি ইতোমধ্যেই সবচেয়ে সস্তা, তাই কার্টেইল করা নবায়নযোগ্য শক্তি হবে সবচেয়ে সস্তা ডিসপ্যাচেবল শক্তির উৎস। তখন নবায়নযোগ্য কেন্দ্রগুলো সেই শক্তি বিক্রি করবে যা তাদের কার্টেইল করতে হতো।

  1. জীবাশ্ম জ্বালানি কেন্দ্র থেকে আরও বেশি শক্তি কিনুন।

alt_text

জীবাশ্ম জ্বালানি সহজাতভাবে ডিসপ্যাচেবল; তারা আরও জ্বালানি পুড়িয়ে দ্রুত শক্তি উৎপাদন বাড়াতে পারে। তবে, কয়লার দাম বেশি, তাই এটি সবচেয়ে কম পছন্দের সমাধান।

শক্তির বাজারগুলো বিশ্বের সবচেয়ে জটিল বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম, তাই উপরের ব্যাখ্যাটি একটি সহজ উপস্থাপন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমাদের লক্ষ্য হলো নবায়নযোগ্য উৎসের মতো কম কার্বন শক্তির উৎসগুলোতে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং কয়লার মতো উচ্চ কার্বন উৎসগুলোতে বিনিয়োগ কমানো। সঠিক দিকে অর্থ প্রবাহ নিশ্চিত করার সর্বোত্তম উপায় হলো আপনি সবচেয়ে কম কার্বন তীব্রতার বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন তা নিশ্চিত করা।

কীভাবে আরও কার্বন সচেতন হওয়া যায়?

tip

কার্বন তীব্রতা যখন কম থাকে তখন বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হলো কম কার্বন নিঃসরণকারী কেন্দ্রগুলোর দিকে বিনিয়োগ প্রবাহিত করা এবং উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী কেন্দ্রগুলো থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার সেরা উপায়।

alt_text

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে একটি রূপান্তর চলছে। সারা বিশ্বে, বিদ্যুৎ গ্রিডগুলো প্রধানত জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো থেকে সরে এসে বায়ু এবং সৌরশক্তির মতো কম কার্বন উৎস থেকে শক্তি সংগ্রহ করছে। এটি আমাদের বিশ্বব্যাপী কার্বন হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য অন্যতম সেরা আশা। গ্রিন সফটওয়্যার প্র্যাকটিশনার হিসাবে, চলুন দেখি আমরা সেই রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে কী কী উপায়ে সাহায্য করতে পারি।

এই রূপান্তরের মূল চালিকাশক্তি মূলত অর্থনৈতিক, কোনো টেকসই লক্ষ্যমাত্রা নয়। নবায়নযোগ্য শক্তি জয়ী হচ্ছে কারণ সেগুলো সস্তা এবং সময়ের সাথে সাথে আরও সাশ্রয়ী হয়ে উঠছে। সুতরাং, এই রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করার জন্য, আমাদের নবায়নযোগ্য প্ল্যান্টগুলোকে আরও লাভজনক করতে হবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানি প্ল্যান্টগুলোকে কম লাভজনক করতে হবে। এটি করার সর্বোত্তম উপায় হলো যখন বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎসের মতো কম-কার্বন উৎস থেকে আসে তখন বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করা এবং যখন এটি উচ্চ-কার্বন উৎস থেকে আসে তখন কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করা।

যখন শক্তি কম-কার্বন উৎস থেকে আসে তখন কার্বন তীব্রতা কম হয় এবং যখন এটি উচ্চ-কার্বন উৎস থেকে আসে তখন তা বেশি হয়।

ডিমান্ড শিফটিং

কার্বন সচেতন হওয়ার অর্থ হলো কার্বন তীব্রতার পরিবর্তনের প্রতি আপনার চাহিদা বাড়িয়ে বা কমিয়ে সাড়া দেওয়া। যদি আপনার কাজ আপনাকে কখন এবং কোথায় কাজের চাপ চালাবেন সে বিষয়ে নমনীয়তা দেয়, তবে আপনি সেই অনুযায়ী শিফটিং করতে পারেন - যখন কার্বন তীব্রতা কম থাকে তখন বিদ্যুৎ ব্যবহার করা এবং যখন এটি বেশি থাকে তখন উৎপাদন বন্ধ রাখা। উদাহরণস্বরূপ, একটি মেশিন লার্নিং মডেলকে এমন সময়ে বা অঞ্চলে প্রশিক্ষণ দেওয়া যেখানে কার্বন তীব্রতা অনেক কম।

গবেষণায় দেখা গেছে যে এই পদক্ষেপগুলোর ফলে ৪৫% থেকে ৯৯% পর্যন্ত কার্বন হ্রাস হতে পারে।

ডিমান্ড শিফটিংকে স্থানিক (spatial) এবং সাময়িক (temporal) শিফটিং-এ বিভক্ত করা যায়।

স্থানিক শিফটিং

স্থানিক শিফটিং মানে আপনার কম্পিউটেশন এমন একটি ভৌগোলিক স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া, যেখানে বর্তমান কার্বন তীব্রতা কম। এটি এমন একটি অঞ্চল হতে পারে যেখানে স্বাভাবিকভাবেই কম কার্বন শক্তির উৎস রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বেশি সূর্যালোকের জন্য ঋতুভেদে বিভিন্ন গোলার্ধে চলে যাওয়া।

alt_text

সাময়িক শিফটিং

যদি আপনি আপনার কম্পিউটেশন স্থানিকভাবে অন্য অঞ্চলে শিফট করতে না পারেন, তাহলে আপনার কাছে অন্য একটি বিকল্প আছে, সেটি হলো অন্য সময়ে শিফট করা। এমন সময় যখন বেশি রোদ বা বাতাস থাকে, যার কারণে কার্বন তীব্রতা কম থাকে। একে সাময়িক ডিমান্ড শিফটিং বলা হয়। আবহাওয়ার পূর্বাভাসের অগ্রগতির মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যৎের কার্বন তীব্রতা যুক্তিসঙ্গতভাবে আন্দাজ করতে পারি।

alt_text

কিছু বড় প্রযুক্তি সংস্থা কার্বন সচেতনতার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে এবং চাহিদা শিফটিং বাস্তবায়ন করতে উন্নত মডেলিং কৌশল ব্যবহার করছে।

  • Google Carbon Aware Data Centers - গুগল কিছু ক্লাউড ওয়ার্কলোডকে কার্বন সচেতন করার জন্য একটি প্রকল্প চালু করেছিল। তারা আগামীকালের কার্বন তীব্রতা এবং ওয়ার্ক লোডের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য মডেল তৈরি করেছিল। তারপর তারা বৃহৎ পরিসরের ওয়ার্কলোডগুলোকে এমনভাবে তৈরি করেছিল যাতে কার্বন তীব্রতা যখন এবং যেখানে সবচেয়ে কম হবে তখন আরও বেশি কাজ হবে, তবে এমনভাবে যাতে তারা প্রত্যাশিত লোড সামলাতে পারে।

  • Microsoft Carbon Aware Windows - মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১১-কে আরও টেকসই করার জন্য একটি প্রকল্পের ঘোষণা করেছে। এর ফলে যখন কার্বন তীব্রতা কম থাকে, তখন উইন্ডোজ আপডেটগুলো চালানো হবে।

ডিমান্ড শেপিং

ডিমান্ড শিফটিং হলো গণনাকে এমন অঞ্চলে বা সময়ে সরিয়ে নেওয়ার কৌশল যখন কার্বন তীব্রতা সবচেয়ে কম থাকে। ডিমান্ড শেপিং প্রায় একই ধরনের কৌশল। ভিন্ন অঞ্চল বা সময়ে সরিয়ে নেওয়ার পরিবর্তে, বিদ্যুৎ এর সাপ্লাইয়ের উপর ভিত্তি করে আমাদের কম্পিউটেশন কে মানিয়ে নিতে হবে।

alt_text

  • যদি কার্বন তীব্রতা কম থাকে, তাহলে চাহিদা বাড়ান; আপনার অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে আরও বেশি কাজ করুন।
  • যদি কার্বন তীব্রতা বেশি থাকে, তাহলে চাহিদা কমান; আপনার অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে কম কাজ করুন।

ডিমান্ড শেপিং মূলত কার্বনের সরবরাহের সাথে জড়িত। যখন আপনার অ্যাপ্লিকেশন চালানোর কার্বন খরচ বেশি হয়ে যায়, তখন কার্বনের সরবরাহের সাথে অ্যাপ্লিকেশনের চাহিদার সমন্বয় করুন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘটতে পারে, অথবা ব্যবহারকারী নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

ইকো মোড (Eco mode) হলো ডিমান্ড শেপিং-এর একটি উদাহরণ। ইকো মোডগুলো গাড়ি বা ওয়াশিং মেশিনের মতো দৈনন্দিন সরঞ্জামে পাওয়া যায়। যখন এটি অ্যাক্টিভেট করা হয়, তখন কম সম্পদ (গ্যাস বা বিদ্যুৎ) ব্যবহার করার জন্য কিছু পরিমাণ কর্মক্ষমতা ত্যাগ করা হয়। যেহেতু কর্মক্ষমতার (Performance) সাথে এই আপসটি (Trade-off) রয়েছে, তাই ইকো মোডগুলো সর্বদা ব্যবহারকারীর কাছে একটি অপশন হিসাবে উপস্থাপন করা হয়।

সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনগুলোতেও ইকো মোড থাকতে পারে যা - স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা ব্যবহারকারীর সম্মতিতে - কার্বন নিঃসরণ কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

এর একটি উদাহরণ হলো ভিডিও কনফারেন্সিং সফটওয়্যার যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ট্রিমিং গুণমান সামঞ্জস্য করে। সব সময় সম্ভাব্য সর্বোচ্চ কোয়ালিটিতে স্ট্রিমিং করার পরিবর্তে, যখন ব্যান্ডউইথ কম থাকে তখন এটি অডিওকে অগ্রাধিকার দিতে ভিডিওর গুণমান কমিয়ে দেয়।

আরেকটি উদাহরণ হলো TCP/IP। তারের মাধ্যমে কতটা ডেটা সম্প্রচার করা হচ্ছে তার প্রতিক্রিয়ায় স্থানান্তরের গতি বাড়ে।

তৃতীয় উদাহরণটি হলো ওয়েবের সাথে প্রগ্রেসিভ ইনহ্যান্সমেন্ট (Progressive enhancement)। ব্যবহারকারী ডিভাইসের রিসোর্স এবং ব্যান্ডউইথের উপর নির্ভর করে ওয়েব এক্সপিরিয়েন্স অ্যাডজাস্ট করা সম্ভব।

ডিমান্ড শেপিং সাস্টেইনাবিলীটির (Sustainability) একটি বিস্তৃত ধারণার সাথে সম্পর্কিত, যা হলো ব্যবহার কমানো। রিসোর্সকে আরো দক্ষ ভাবে ব্যবহার করে আমরা অনেক কিছু অর্জন করতে পারি, তবে একটি নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের কম ব্যবহার করারও প্রয়োজন রয়েছে।

গ্রিন সফটওয়্যার প্র্যাকটিশনার হিসাবে, আমরা ডিমান্ড শিফটিং না করে যখন কার্বন তীব্রতা বেশি থাকে তখন একটি প্রসেস বা কম্পিউটেশন বাতিল করার কথা বিবেচনা করব - যা আমাদের অ্যাপ্লিকেশনের চাহিদা এবং আমাদের ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশা হ্রাস করবে।

সারাংশ

  • কার্বন সচেতনতার অর্থ হলো এটি বোঝা যে আপনি যে শক্তি ব্যবহার করেন তার প্রভাব কার্বন তীব্রতার দিক থেকে একই থাকে না।

  • কার্বন তীব্রতার পরিবর্তন নির্ভর করে এটি যে সময় এবং স্থানে ব্যবহৃত হয় তার উপর।

  • জীবাশ্ম জ্বালানি এবং নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের ধরণ বোঝায় যে যখন কার্বন তীব্রতা কম থাকে তখন শক্তি ব্যবহার করলে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের চাহিদা বাড়ে এবং সরবরাহে নবায়নযোগ্য শক্তির শতাংশ বাড়ে।

  • ডিমান্ড শিফটিং মানে আপনার শক্তি ব্যবহারকে ভিন্ন স্থান বা দিনের সময়ে স্থানান্তরিত করা যেখানে কার্বন তীব্রতা কম থাকে।

  • ডিমান্ড শেপিং মানে কম তীব্রতার সময় বেশি ব্যবহার করা এবং বেশি তীব্রতার সময় কম ব্যবহার করার জন্য কার্বন তীব্রতার পরিবর্তনশীলতার সাথে আপনার শক্তি ব্যবহারকে মানিয়ে নেওয়া।

কুইজ

কার্বন তীব্রতা কী?

কার্বন তীব্রতার একক কি?

কোন দুটি ভেরিয়েবল কার্বন তীব্রতাকে প্রভাবিত করে?

নিচের কোনটি প্রান্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে সত্য নয়?

কার্টেইলমেন্ট কী?

নিচের কোনটি কার্বন সচেতন কম্পিউটিং-এর উদাহরণ নয়?

ডিমান্ড শিফটিং-এর দুটি প্রকার কী কী?

ডিমান্ড শেপিং কী?

নিচের কোনটি কার্বন সচেতনতার উদাহরণ?